ঢাকা , শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫ , ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমে ৭৫ কোটি টাকা ঘুষ নেন সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনে একমত দলগুলো ৫৩ বছরে এমন আলোচনার সুযোগ আসেনি-আলী রীয়াজ লেনদেনের মাধ্যমে শিশু হাসপাতালে চিকিৎসক নিয়োগ হয়েছে-ডা. খালিদুজ্জামান তদন্তে সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে গুমে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা পুলিশ সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা আইএমইডিতে ৪ কোটি টাকার কাজ করেছে ২৬ কোটি টাকায় টেলিকম খাতে নতুন নীতিমালা নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ দেশে নারী-শিশু নির্যাতন মহামারি পর্যায়ে-শারমীন এস মুরশিদ জাপানের বন্ধুত্ব ও অবদান বাংলাদেশ সবসময় মনে রাখবে -প্রধান উপদেষ্টা প্রস্তুত এসএসসির ফল, প্রকাশ শিগগিরই প্রবাসীদের সুবিধা দিয়ে ব্যাগেজ রুলস সংশোধন করলো এনবিআর রাজস্ব ঘাটতি লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা এনবিআর নিয়ে কঠোর অবস্থানে সরকার এক্সপ্রেসওয়েতে অবরোধ যানজট-ভোগান্তি বরিশালে সাবেক মেয়রসহ ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তে দুদক ১৪ দিনে সেনাবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ৫৬২ ডিএই’র পেঁয়াজ বীজ সরবরাহ করেনি বঙ্গ এগ্রোটেক ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল এসআই প্রত্যাহার মুরাদনগরে ২ সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্টের দাম বেড়ে চলে গেছে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে

বাড়তি করের চাপে আবাসন খাত

  • আপলোড সময় : ০৯-০৬-২০২৪ ০৮:০৭:১০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-০৬-২০২৪ ০১:০৯:২৯ পূর্বাহ্ন
বাড়তি করের চাপে আবাসন খাত
নানান কারণে বেশ কয়েক বছর ধরেই টালমাটাল হয়েছে আবাসন খাত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি এ খাতকে আরও উসকে দিয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে নির্মাণ খাতের উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি। সবমিলিয়ে এরইমধ্যে ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্টের দাম বেড়ে চলে গেছে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। এ অবস্থায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের আগে সরকারের কাছে বেশকিছু প্রস্তাব দেন আবাসন খাতসংশ্লিষ্টরা। তবে বাজেটে সেসব দাবি ফিকে হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। যদিও বিনাপ্রশ্নে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। তবে এ খাতের নানান উপকরণের ওপর বাড়তি শুল্ক মড়ার ওপর খাড়ার ঘাঁ হিসেবেই দেখছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নির্মাণ খাতের অতি প্রয়োজনীয় উপাদান ইটের ওপর বেড়েছে কর, শুল্ক বসেছে প্রি-ফেব্রিকেটেড বিল্ডিং তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের পণ্যে। ভ্যাট বেড়েছে জেনারেটর ও এসিতে। আবাসন ব্যবসায়ীদের মূল দাবি ভ্যাট-ট্যাক্স, রেজিস্ট্রেশন খরচের বিষয়েও কোনো আশার বাণী নেই নতুন অর্থবছরের বাজেটে। আবাসন খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে আর্থিক খাত সংস্কারের বলিষ্ঠ কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান হয়নি। ডলারের উচ্চমূল্য, রিজার্ভের পতন প্রভাব ফেলেছে সামগ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যে। এছাড়া ব্যাংকখাতে দুর্দশার কারণে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা আগের মতো ব্যাংক থেকে ঋণের সুযোগ পাচ্ছেন না। ফলে এ খাতের ব্যবসায়ীদের চলতে হচ্ছে নিজের পায়ে ভর করে। সবমিলিয়ে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে আবাসন খাতের অনেক প্রতিষ্ঠান। আসন্ন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাজেটে প্রি-ফেব্রিকেটেড বিল্ডিং তৈরিতে ব্যবহৃত পণ্যের ওপরে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। নির্মাণ খাতের অতি প্রয়োজনীয় উপাদান ইটের ওপর করহার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে বাড়বে ইটের দাম। এসবের প্রভাব পড়বে ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ ব্যয়ে। তবে চূড়ান্তভাবে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা বহন করতে হবে ক্রেতাকেই। এতে ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি কমবে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
আবাসন খাতের উদ্যোক্তারা বলেন, ফ্ল্যাট ও প্লট ক্রয়ে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। এক্ষেত্রে সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষ টাকার উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারবে না। বিষয়টি আবাসন খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই একটি বিষয় ছাড়া বাজেটে আবাসন খাতের জন্য আর কোনো সুখবর নেই বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আমরা বার বার বলে আসছি আবাসন খাতের রেজিস্ট্রেশন খরচ কমানোর জন্য। প্রস্তাবিত বাজেট পেশ হওয়ার আগেও আমাদের প্রস্তাব ছিল এটা। কারণ একটি ফ্ল্যাট নতুন ও পুরোনো অবস্থায় দুই ক্রেতার কাছে গেলেও একই পরিমাণ রেজিস্ট্রেশন খরচ। এতে ক্রেতা নিরুৎসাহিত হন, দাম কম দেখানোর প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। বিষয়টি সমাধানের জন্য আবারও সরকারের কাছে সুপারিশ জানাচ্ছি। আবাসন খাতে কালো টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, কালো টাকা (বিনিয়োগের সুযোগ) এক বছরের জন্য দিলে হবে না। এটাকে অন্তত পাঁচ বছরের জন্য করা হলে ভালো ফলাফল আশা করা যায়। এক্ষেত্রে প্রথমবার ১৫ শতাংশ, পরের বছর থেকে বেশি হারে কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিলে আরও বিনিয়োগ আসবে। সবচেয়ে বড় কথা বর্তমানে আবাসন খাত ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ খাত টেনে তুলতে বাজেটে নীতিসহায়তার খুবই প্রয়োজন। ব্রিক ওয়ার্কস লিমিটেডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন, আবাসন খাতের সংকটের মধ্যেও নির্মাণ উপকরণের দাম কমার পরিবর্তে আরও বাড়ছে। আবার নতুন বিধিমালা অনুযায়ী ভবনের উচ্চতা ও আয়তন কমবে। ফলে কমবে ফ্ল্যাটের সংখ্যা। ব্যবসায়ীরা আবাসন খাতে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হবেন। এরইমধ্যে কমছে বিনিয়োগ। বর্তমানে আবাসন খাত ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ খাত টেনে তোলার মতো নীতিসহায়তা প্রয়োজন ছিল বাজেটে, উল্টো শুল্ক-কর বসেছে। মধ্যবিত্তকে এখন ফ্ল্যাটের আশা ছেড়ে দিতে হবে, ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হবেন ব্যবসায়ীরা। আবাসন ব্যবসায়ীদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ জেনারেটরের ওপর এক শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় দেশের বাজারে বাড়বে জেনারেটরের দাম। এছাড়া এসির ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করায় এসির দামও বাড়বে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
আইএমইডিতে ৪ কোটি টাকার কাজ করেছে ২৬ কোটি টাকায়

আইএমইডিতে ৪ কোটি টাকার কাজ করেছে ২৬ কোটি টাকায়